শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদক আবুল হাসনাত আর নেই। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তরুণ লেখক স্বকৃত নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালি ও কলমের সহকারী সম্পাদক আশফাক খান। তিনি জানান, ফুসফুসে সংক্রমণজনিত রোগের কারণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবুল হাসনাত। সেখানে করোনা পরীক্ষা করলে ফল নেগেটিভ আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা গেলেন।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত জানান, আবুল হাসনাতকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

আবুল হাসনাত একজন সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নন্দিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা করেছেন। তার নেতৃত্বে সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম এবং বেঙ্গল বই এদেশের প্রকাশনাজগতে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে।

আবুল হাসনাত ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায় জন্ম নেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক, ‘কোনো একদিন ভুবনডাঙায়’, ‘ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল’।

তার প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর ও অন্যান্য ও জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন ও অন্যান্য।

শিশু ও কিশোরদের নিয়ে রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়’, ‘টুকু ও সমুদ্রের গল্প’, ‘যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুরে’, ‘রানুর দুঃখ-ভালোবাসা’।

তিনি দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে সম্পাদনা করেন। আমৃত্যু তিনি সাহিত্যপত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একইসঙ্গে চিত্রকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘শিল্প ও শিল্পী’রও সম্পাদক তিনি। মাহমুদ আল জামান নামেও তিনি লেখালেখি করতেন।

১৯৮২ সালে টুকু ও সমুদ্রের গল্পের জন্য পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.