ঢাকা সহ সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভবনা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে জানা গেছে, আজ (১৩ আগস্ট) ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ বিভাগেই অব্যাহত থাকতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রযোজ্য। এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

রোববার ভোর থেকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টিসহ বজ্রপাতও হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে পারেননি অনেকেই। ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। মধ্যরাতে কিছুটা বিরতি দিলেও, রোববার ভোর যতই ঘনিয়েছে, আকাশ ভেঙে বৃষ্টির বেগ বেড়েছে ততই। ঢাকার কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে মুষলধারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে ব্যাহত হয় মানুষের চলাচল। যানবাহন কম, অগত্যা বৃষ্টিবন্দি হয়ে আটকা পড়েন অনেকেই। কেউ আশ্রয় নেন সড়কের পাশের ছাউনিতে, আর যাদের ছাতা ছিল তারা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করেন।

বেশি ভোগান্তিতে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষজন। বৃষ্টিতে ভিজেই কাজের খোঁজে ছোটেন তারা। একজন মাছ বিক্রেতা জানান, বৃষ্টির মধ্যে ক্রেতারা বের হতে পারে না বলে বিক্রি হয় না আশানুরূপ। মাছের চালানও কম, দাম বেশি। তাই সব দিকেই ক্ষতি।

বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় কেউ কেউ আবার আশ্রয় নেন টং দোকানে। বৃষ্টির সাথে চা, দিনের শুরুটা প্রশান্তি আর ভোগান্তির মিশেলেই। দিনমজুরদের ভোগান্তিও এমনদিনে অনেক বেশি। তাদের পক্ষে ঘরে বসে থাকার বিলাসিতা সম্ভব নয়। বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর-সর্দির চেয়েও মানুষের বেশি ভয় ডেঙ্গু নিয়ে। জমাট পানিতে জন্মাতে পারে এডিস মশা, এই শঙ্কা অনেকেরই।

ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই পথে নামতে শুরু করে মানুষ। বেলা বাড়লে অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। বৃষ্টির বিপত্তির সাথে যানবাহন না পাওয়া আর অতিরিক্ত ভাড়া বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। যদিও চালকরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে যাত্রীই নেই। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেই এখন জলাবদ্ধতা।

সুত্রঃ যমুনা টিভি

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.