মেহেরপুরের মুজিবনগরে দুপক্ষের সংঘর্ষ। আহত ১৮

মুজিবনগর প্রতিনিধি :

মেহেরপুরের মুজিবনগরে আনন্দবাস গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিস্বাসের আনন্দবাস গ্রামের বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ও গুরুতর আহতদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিজয় হওয়াতে আনন্দবাস গ্রামের তার কর্মী সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল পাকা সড়ক অতিক্রম করে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে এলাকার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াউদ্দিনের কর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকেরা সংঘর্ষে ১৮জন আহত হয়। তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকার মানুষ
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতরা হলেন আকাশ মিয়া (২৫), টুকু বিশ্বাস (৪০) অপু বিশ্বাস (৩৩), অন্তর মল্লিক (১৬), আব্দুল হালিম (৩২)আশরাফুল ইসলাম (৪৫), ফেরদৌস আলী মেনতা (৫৫) আয়াত আলী (৪৫) ফজলুল হক (৫৯), নাহিদুল ইসলাম (৩৫)পিয়াস মিয়া (২৫)আলী ইয়াসিন (৫০)
ট্রাক প্রাথী আহত ৪
আশিক (২৪) রানা হামিদ (২১)শফিকুল মিয়া, আজিজুল (৩২) পথচারী শহিদুল (৩৭)

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সর্ব প্রথমে নৌকার আনন্দ মিছিল থেকে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের একজন কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারা হয়। পরে মিছিলটি জিয়াউদ্দিনের বাড়ির সামনে গিয়ে আরো জোরে শব্দ করে স্লোগান দিয়ে থাকে। এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস বাড়ি থেকে বের হয়ে তাদেরকে তার কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চাই। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১৮জন কর্মী সমর্থকেরা আহত হয়।
খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর পর এসআই ইসরাফিল ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করার পর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক তবে অভিযোগ পেলে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.