শারদ আবহ চারিদিকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বছরব্যাপী অপেক্ষার পালা শেষ। মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। ধূপ-ধুনুচি, পঞ্চপ্রদীপ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে সায়ংকালে আসনে অধিষ্ঠিত হবেন দেবী দুর্গা। মণ্ডপ আর মন্দিরগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে ভক্তদের আরাধনায়।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়ায় পিতৃপক্ষের সমাপ্তিতে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হলেও এ বছরের আশ্বিন মাস ‘মল মাস’ হওয়ায় দেবীপক্ষের প্রায় এক মাস পাঁচ দিন পর হেমন্তের কার্তিকে আজ বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো।

আগামীকাল শুক্রবার সপ্তমীতে পূজামণ্ডপ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সপ্তমী থেকে মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে পূজা দেখা, দেবীকে প্রণাম করা, প্রসাদ গ্রহণও শুরু হয়। অঞ্জলী গ্রহণ করে। চলে ঘটে পূজা ও চণ্ডী পাঠ। দেবীর মণ্ডপের সামনে একান্ত মনে ধূপ, দীপ, পুষ্প ইত্যাদি দিয়ে আরতিও এ দিন থেকে।

মহামারি করোনার কারণে এবার দুর্গাপূজায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

সন্ধ্যারতি বা সন্ধ্যার পর সর্বসাধারণের জন্য দুর্গাপূজার মন্দির/মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ফলে সন্ধ্যার পর এবার পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা কিংবা আরতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের।

সপ্তমীর পর অষ্টমী, নবমী শেষে দশমীতে (২৬ অক্টোবর) দুর্গাপূজা শেষ বা দেবীর বিসর্জন হবে।

প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি স্ব স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেয়ার জন্য বলেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে এবার ৩০ হাজার ২১৩টিতে পূজা হবে। গত বছর দুর্গাপূজার মণ্ডপ ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর এক হাজার ১৮৫টি দুর্গাপূজা কম হতে যাচ্ছে।

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.