সরানো হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডিকে

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবেদ হাসানকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএলএফএসএলের এমডির পদ থেকে আবদুল খালেক খান পদত্যাগের পর গত মাসে তার স্থলাভিষিক্ত হন সৈয়দ আবেদ হাসান, যিনি এর আগে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার (সিএফও) দায়িত্ব পালন করেন।

আবেদ হাসান প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে বিবেচিত। তার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয় বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও জবানবন্দিতে উঠে আসে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খানের কাছে সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত এমডিকে সরিয়ে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কাউকে এমডি নিয়োগ দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চিঠিতে বলা হয়, আর্থিক অনিয়মে জড়িত হিসেবে সৈয়দ আবেদ হাসানের নাম এসেছে বিভিন্ন তদন্তে ও প্রতিবেদনে। এরপরও তাকে এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএলএফএসএলের চেয়ারম্যানের নজরুল ইসলাম খান গত বৃহস্পতিবার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে চিঠি এসেছে, আমরা তা পরিপালন করব। তবে সমস্যা হলো, কাকে দায়িত্ব দেব। তিন স্তর পর্যন্ত সবার নামেই একই অভিযোগ, মামলাও হয়েছে। এখন চেষ্টা চলছে নতুন লোকবল নিয়োগের।

অভিযুক্তদের এখনো বহাল থাকা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সবাইকে সরিয়ে দিতে গেলে পিয়ন ছাড়া কেউ থাকবে না। তবে পরিকল্পনা রয়েছে। পরিচালকদের কাছ থেকে বন্ড নিয়ে তাদের সরিয়ে দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু কেউ বন্ড দিতে রাজি হচ্ছেন না।

প্রসঙ্গত, পি কে হালদার রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি, বর্তমানে পলাতক। পদে থাকার সময় বেনামি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ চারটি প্রতিষ্ঠান দখল করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন, যা এখন আদায় হচ্ছে না। এ জন্য ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন আদালত।

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.